উপক্রমণিকাঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশে জীবনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নিমিত্তে নতুন শিক্ষা কারিক্যুলাম প্রকাশ করেছেন ও পর্যায়ক্রমে তা প্রবর্তন করেছেন।
বর্তমান যুগোপযোগী বাস্তব বিষয়সমূহ দেশের অধিকাংশ কলেজসমূহে এখনও প্রবর্তিত হয়নি। হবিগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে ছাত্র/ছাত্রীদের যৌথভাবে লেখাপড়া করার একটি মাত্র কলেজ প্রায় আটষট্টি বছর ধরে চলে আসছে অথচ ছাত্র-ছাত্রীদেরসংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু মেয়েদের জন্য একটি বিকল্প কলেজ হবিগঞ্জ শহরে গড়ে উঠলেও ছেলেদের একটি বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন বিপুলভাবে অনুভূত হওয়ায়, হবিগঞ্জের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায় গত ক'বছর ধরে ভাবিত হয়েছেন। এসব ভাবিত বিদগ্ধদেরই একজন শ্রীযুক্ত শচীন্দ্র লাল সরকার আরো অনেকের অনুরোধে তাড়িত হয়ে নিজের সারা জীবনের শ্রমের বিনিময়ে যা পেয়েছেন তা দিয়ে একটা কিছু করে যেতে চাইলেন। সৃষ্টি হলো শচীন্দ্র কলেজ।