History

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশে জীবনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নিমিত্তে নতুন শিক্ষা কারিক্যুলাম প্রকাশ করেছেন ও পর্যায়ক্রমে তা প্রবর্তন করেছেন।

     বর্তমান যুগোপযোগী বাস্তব বিষয়সমূহ দেশের অধিকাংশ কলেজসমূহে এখনও প্রবর্তিত হয়নি। হবিগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে ছাত্র/ছাত্রীদের যৌথভাবে লেখাপড়া করার একটি মাত্র কলেজ প্রায় আটষট্টি বছর ধরে চলে আসছে অথচ ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু মেয়েদের জন্য একটি বিকল্প কলেজ হবিগঞ্জ শহরে গড়ে উঠলেও ছেলেদের একটি বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন বিপুলভাবে অনুভূত হওয়ায়, হবিগঞ্জের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায় গত ক'বছর ধরে ভাবিত হয়েছেন। এসব ভাবিত বিদগ্ধদেরই একজন শ্রীযুক্ত শচীন্দ্র লাল সরকার আরো অনেকের অনুরোধে তাড়িত হয়ে নিজের সারা জীবনের শ্রমের বিনিময়ে যা পেয়েছেন তা দিয়ে একটা কিছু করে যেতে চাইলেন। সৃষ্টি হলো শচীন্দ্র কলেজ। ষোল লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সরোবর সহ ৬.৩৩ একর জমি কিনে কলেজের নামে দানপত্র সম্পাদন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও ১.২০ একর জমি শ্রী সরকারের অর্থে কলেজের খেলার মাঠের শ্রীবৃদ্ধির জন্য ক্রয় করা হয়। উক্ত সরোবর বর্তমানে বিজয়লক্ষী সরোবর নামে পরিচিত হয়েছে। দানকৃত ভূমির উপর প্রতিষ্ঠাতা মহোদয় পাঁচতলা ভিত্তির উপর বিশাল দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেছেনে। প্রতিষ্ঠাতা শ্রী সরকার মহোদয় নিজের হাতে গাছের চারা রোপন করেছেন এবং নিজে নির্মাণ কাজ দেখাশুনা করেছেন। তাঁর একান্ত ইচ্ছে এই কলেজ ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিষয়সহ অত্যাধুনিক বিষয়সমূহে বাস্তবমুখী শিক্ষাদান করে একবিংশ শতাব্দীর যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলা হবে। এ কলেজের ভাবী ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণ শিক্ষকেরা সুশিক্ষা, মূল্যবোধ ও মুক্তমনের অধিকারী হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় আত্ননিয়োগ করে শ্রেষ্ঠ অবদান রাখতে সমর্থ হবেন এ আশায়ই প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের নিরলস কর্মপ্রয়াস আর অকাতর দান। কলেজের তুরণ শিক্ষক আর ছাত্র/ছাত্রীরা প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শচীন্দ্র লাল সরকারের সন্তানের স্থান দখল করে নিতে সমর্থ হোক এই কামনা।